ঢাকা , শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫ , ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিলেট-মৌলভীবাজারে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি

মৌসুমের প্রথম শিলাবৃষ্টি

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ১৪-০৩-২০২৫ ১২:৩০:১৮ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ১৪-০৩-২০২৫ ০২:১৬:৩৮ অপরাহ্ন
মৌসুমের প্রথম শিলাবৃষ্টি সংবাদচিত্র: সংগৃহীত
সিলেট জেলার বিভিন্ন উপজেলায় তীব্র বেগে ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সেইসঙ্গে বেশ কয়েক জায়গায় বজ্রপাতের ঘটনাও ঘটেছে। একই সময় মৌলভীবাজারের বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে কৃষকের ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষ করে তরমুজ ও পেঁয়াজ জাতীয় ফসলের ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। বাংলাস্কুপকের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে বিস্তারিত-

সিলেট প্রতিনিধি জানান- সিলেট জেলার বিভিন্ন উপজেলায় তীব্র বেগে ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সেইসঙ্গে বেশ কয়েক জায়গায় বজ্রপাতের ঘটনাও ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে কালবৈশাখি ঝড় ও শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। যার স্থায়িত্ব ছিল প্রায় ১০ মিনিট।

সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা জাকির হোসেন জানান, সন্ধ্যার পর থেকে গোলাপগঞ্জ এলাকায় শীতল হাওয়া বইছিল। রাত ৮টার পর থেকে তীব্র গতিতে ঝড়ো হাওয়া বয়, পরে বজ্রবৃষ্টি হয়। এ সময় শিলাবৃষ্টি হয়। সিলেট সদর উপজেলার বাসিন্দা আসলাম উদ্দিন বলেন, আমি সন্ধ্যার পর সিলেট শহর থেকে সদর উপজেলায় যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে ব্যাপক ঝড় ও শিলাবৃষ্টির কবলে পড়েছি। এটি এই মৌসুমে প্রথম শিলাবৃষ্টি।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ সজীব হোসাইন জানান, সিলেটের বিভিন্ন জায়গায় শিলাবৃষ্টি  হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আগামী ৭২ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সিলেটে আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বৃষ্টির পরিমাণ রেকর্ড করা হয়েছে ৫.৪ মিলিমিটার।

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি জানান- মৌলভীবাজারের বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে কৃষকের ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষ করে তরমুজ ও পেঁয়াজ জাতীয় ফসলের ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাত ৯টার পর জেলার এই দুই উপজেলায় শিলাবৃষ্টি হওয়ার খবর পাওয়া যায়।

জুড়ী উপজেলার কৃষক ইসলাম উদ্দিন বলেন, রাতে হঠাৎ করে শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছি। বিশেষ করে বর্তমানে শীতকালীন সবজির ক্ষতি হয়েছে। রাতে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা যায়নি। তবে জুড়ীতে শিলাবৃষ্টি বেশি সময় স্থায়ী হয়নি যার কারণে ফসলের ক্ষতির পরিমাণ খুব একটা হওয়ার সম্ভাবনা কম। বড়লেখা উপজেলার আব্দুল্লাহ আল মাহবুব বলেন, রাতে বড়লেখা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রচুর শিলাবৃষ্টি হয়েছে। ফাল্গুন মাসের একেবারে শেষের দিকে এসে এই বৃষ্টিতে টিনের ঘরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমাদের দাসের বাজার ইউনিয়নের অনেক গরিবের ঘরের চাল বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বড়লেখার স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী রেদওয়ান আহমদ রুম্মান বলেন, বড়লেখা উপজেলার পৌর এলাকা, পাখিয়ালা, মুড়িরগুল, পানিধার, মুছেগুলসহ হাওরপারের এলাকাগুলোতে শিলাবৃষ্টি হয়েছে। শিলাবৃষ্টিতে ফসলের কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার এখনও নিরূপণ করা যাচ্ছে না। ক্ষয়ক্ষতি পরিমান আগামীকাল নিরূপণ করা যাবে।

জুড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল আলম খান বলেন, বর্তমানে শিলাবৃষ্টি হলে বোরো ধানের ক্ষতি হাওয়ার শঙ্কা নেই। তবে তরমুজ জাতীয় ফসলের ক্ষতি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তবে জুড়ীতে তেমন শিলাবৃষ্টি হয়নি যা কৃষকের ক্ষতি করতে পারে। তিনি বলেন, বড়লেখা উপজেলায় সবচেয়ে বেশি শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এইরকম কিছু ছবি আমার কাছে কয়েকজন দিয়েছেন। ছবিতে যে-রকম শিলাবৃষ্টি দেখা গেছে এরকম হলে কৃষকের শীতকালীন সবজির ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এনআইএন


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ